‘গণতান্ত্রিক ইতিহাসে রফিক উল হকের অবদান অবিস্মরণীয়’
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের অবদান অবিস্মরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন,ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ব্যক্তি চরিত্র কখনো আদালতকে বিভ্রান্ত করেনি। আইন পেশার বাইরেও তিনি অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি নিজ কর্মক্ষেত্রের বাইরে গিয়েও সমাজসেবায় অন্যান্য অবদান রেখেছেন।বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে তার অবদান অবিস্মরণীয়।
সোমবার ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তার কর্মদক্ষতা দিয়ে আইন জগতে ভাস্বর হয়ে থাকবেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন তিনি। তার সান্নিধ্যে এসে বহু আইনজীবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সর্ব পেশার মানুষকে শ্রদ্ধা করতেন তিনি। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের স্মৃতিচারণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট এ.এফ. হাসান আরিফ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ.কে.আজাদ খান, আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা (অনারারী) ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর রাজধানীর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। এরপর যুক্তরাজ্য থেকে ১৯৬২ সালে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন।
এমএইচডি/এসকেডি