আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ১৭ মিনিটে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে জয়সহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এদিন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তিনি আদালতে উপস্থিত হন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৪টায় আদালত ত্যাগ করেন জয়।
আজ আদালতকে জয় বলেন, বাংলাদেশে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় আমেরিকায়ও মামলা হয়েছে। সেখানে এফবিআইয়ের এজেন্টসহ কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে।
এ সময় অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রকারী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু এসব নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় তাকে (জয়) হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তার বাসা থেকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। আদালতের কাছে তিনি (জয়) ন্যায় বিচার চেয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এনআর/এসকেডি