কিশোরীর বিয়ে পড়ানোয় কাজীকে হাইকোর্টে তলব

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এক কিশোরীর বিয়ে নিবন্ধন করায় ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ মার্চ ওই বিয়ে সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রার ভলিউমসহ তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববার (৭ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ ইমরান আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম একই উপজেলার বগদানা গ্রামের আব্দুল মান্নানের কিশোরী মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা জাহিদুল ইসলামকে আসামি করে ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর সোনাগাজী মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি এখন ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে বিচারাধীন।
কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কাবিননামায় কিশোরীর বয়স বেশি দেখিয়েছেন। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামি। জামিন শুনানিকালে কিশোরী মেয়ের বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন দিতে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদারকে তলব করেছেন আদালত।
এমএইচডি/ওএফ