বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সুমনের বাবা আলী আকবর একই আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ হৃদয় মিয়া ও রনি হোসেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সুমন গত ৯ জুন মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় তার সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাকে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে নিয়ে মাথায় অপারেশন করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তেজগাঁও
শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করতে যান বাদী আলী আকবর। পুলিশ মামলা না নিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করিয়ে নেয়। তবে সেই জিডির তদন্তও হয়নি। এ অবস্থায় চলতি বছর ২৫ জুলাই ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান।
মৃত্যুর পর মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। যেখানে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে বাদীর কাছ থেকে চাপ দিয়ে লিখিত কপিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিনে তদন্ত না করায় নিহতের বাবা আদালতে এই মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সুমনের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে নিহত সুমনের মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ বাদীকে ফেরত দিয়েছে।
নিহত সুমন বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করে খণ্ডকালীন একটি প্রজেক্টে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন। একইসঙ্গে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছিলেন।
এনআর/এসকেডি