ফটিকছড়ির ট্রিপল মার্ডার : আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা আবেদন খারিজ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ট্রিপল মার্ডার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে নিয়মিত আদালতের স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আইনে আছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১৩৫ দিনের মধ্যে যদি মামলার কার্যক্রম শেষ করতে না পারে তাহলে মামলাটি আবার আগের কোর্টে ফেরত যাবে। এ জন্য মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে আগের আদালতের ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ১০ ধারা অনুসারে মামলা আগের আদালতে ফেরত পাঠানোর বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিবেচনায় আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি চলতে বাধা নেই।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরে বিএনপি জামায়াতের হরতাল অগ্নি-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আয়োজিত আওয়ামী লীগের মিছিলে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা-কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় ভুজপুর থানায় পাঁচটি মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয় ১৬ হাজার ৪৭১ জনকে। এর মধ্যে ৪৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকিরা অজ্ঞাতনামা আসামি। আসামিদের মধ্যে ছিলেন ভুজপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমির শফিউল আলম নুরী ও ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমির হাবিব আহমেদ।
এমএইচডি/এসকেডি