মুফতি হারুন ইজাহারের জামিন আপিল বিভাগে বহাল
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজাহারকে (৪৭) হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তার জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৩ সালের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুফতি হারুন ইজহারকে গত বছরের ৩ জানুয়ারি জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে তার জামিন স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। সেই থেকে জামিন স্থগিত ছিল।
এদিকে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুফতি হারুন ইজহারকে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনার মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারকে কারাগারে পাঠানো হয়। চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার আদালত এ আদেশ দেন।
ওই বছরের ২৮ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
গ্রেফতারের পর ওই বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ হাটহাজারীজুড়ে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মুফতি হারুন ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মাদরাসায় হ্যান্ডগ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান এবং পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতল অ্যাসিড ও গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করে। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন হারুন ইজহার।
এমএইচডি/কেএ
