নায়িকা শিমু হত্যা মামলায় স্বামীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মেয়ের সাক্ষ্য

Dhaka Post Desk

আদালত প্রতিবেদক

২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:২৩ পিএম


নায়িকা শিমু হত্যা মামলায় স্বামীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মেয়ের সাক্ষ্য

স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেলের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমু / ফাইল ছবি

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মেয়ে অজিহা আলিম রিদ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। 

রিদ তার জবানবন্দিতে বলেন, তার বাবা নোবেল জেলে যাওয়ার দুই দিন পর ফোন করে বলেন, মা আমি ভুল করে ফেলেছি। আমাকে মাফ করে দিও।

এর আগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) একই আদালতে মামলার বাদী শিমুর ভাই হারুন অর রশীদ জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। তবে ওই দিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আনোয়ার সরদার বিষয়টি জানিয়েছেন। 

গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে
বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ করেন।

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এনআর/ওএফ

Link copied