সুপ্রিম কোর্ট বারে বিচারপতি মানিকের ওপর বোতল নিক্ষেপ

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে এসে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের রোষানলের শিকার হয়েছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তার ওপর পানির বোতল ও খাবারের প্যাকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক আইনজীবী জানান, বিকেল ৫টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশ পথজুড়ে এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে অবস্থান করছিলেন বিক্ষোভরত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। পৌনে ৬টার দিকে বিচারপতি মানিক প্রবেশ পথ দিয়ে ইফতারে অংশ নেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় প্রবেশমুখে অবস্থানরত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘ভোট চোর, ভোট চোর’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি বিচারপতি মানিকের উদ্দেশে একাধিক বোতল ও খাবারের প্যাকেট নিক্ষেপ করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে বিচারপতি মানিক দ্রুত হেঁটে উপরে উঠে যান।
এ বিষয়ে সাবেক বিচারপতি মানিক বলেন, ইফতার আয়োজনে যোগ দিতে গেলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রথমে আমাকে বাধা দেন। বাধা পেরিয়ে আয়োজনে যোগ দিতে গেলে আক্রমণাত্মক হয়ে আমার দিকে পানির বোতল ও খাবারের প্যাকেট ছুড়ে মারে। সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের এমন আচরণ দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
জানতে চাইলে বিএনপিপন্থি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখেছি বিচারপতি মানিককে কে বা কারা বোতল নিক্ষেপ করেছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এটা করতে পারে। বিএনপির কোনো আইনজীবী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বর্তমান অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির ইফতার আয়োজনে ভাঙচুর, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইফতার আয়োজনের ব্যানার, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করা হয়। পরে অবশ্য ভাঙচুরের স্থানেই ইফতার করা হয়। সমিতি ভবনের তিনটি হলরুমে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। যে কমিটিকে অস্বীকার করে আসছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীসহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীরা।
ইফতার অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নাম থাকলেও অনুষ্ঠানে তিনি আসেননি। এমনকি আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের কোনো বিচারপতিও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচডি/কেএ