হাইকোর্টে দুই পুলিশ কর্মকর্তার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

আদালতের আদেশ অমান্য করার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খান ও তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতে পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
পরে অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার সাফায়াত আয়ান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে সাফায়েত উল্লাহ সাগরের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন সাফায়েত উল্লাহ সাগর।
জামিন শুনানির সময় আদালতে সাফায়েত উল্লাহ সাগরের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, সাফায়েত উল্লাহ সাগর ও সাফায়েত আয়ান এক ব্যক্তি নয় এবং ফেসবুক পোস্টও সাগরের নয়। তখন ১৫ মার্চ আদালত এই মামলা ও ফেসবুক আইডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খান ও তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনকে হাইকোর্টে হাজির হতে মৌখিক নির্দেশ দেন। ২২ মার্চ তাদেরকে আসতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের আদেশের বিষয়টি তাদের জানালেও নির্ধারিত দিনে সন্দ্বীপ থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হননি। বরং তারা রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেন লিখিত আদেশ পেলেই আমরা আদালতে হাজির হব। পরে আদালত লিখিত আদেশ দিয়ে ২৫ মার্চ তাদের হাজির হতে বলেন।
আজ সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খান ও তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন আদালতে হাজির হয়ে ২২ মার্চ আদালতে হাজির না হওয়ার জন্য দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে সাফায়েত উল্লাহ সাগরের জামিন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এমএইচডি/জেডএস