বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস : চার্জশিট গ্রহণ করেননি আদালত

বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেননি আদালত।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ এ মামলার চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। বিচারক চার্জশিট গ্রহণ না করে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। তবে কোন সংস্থা অধিকতর তদন্ত করবে সে বিষয়ে এখনো আদেশ দেননি।
এর আগে গত ২২ জুন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ বিমানের ২৬ কর্মকর্তা/কর্মচারী ও চার চাকরি প্রত্যাশীসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর গত ১৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী চার্জশিট পর্যালোচনা সাপেক্ষে মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন– এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন, এমটি অপারেটর এনামুল হক, এমএলএসএস হারুন অর রশিদ, এমটি অপারেটর মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, এমএলএসএস জাকির হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।
২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে চলে যান। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠাতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
পদগুলো হলো– জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।
প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
এনআর/এসএসএইচ/