জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে ইরফান সেলিমের আবেদন

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
ইরফান সেলিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। ইরফান সেলিমের আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।
এর আগে গত ২৪ মার্চ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
গত ১৮ মার্চ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো: বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
গত ২৭ জানুয়ারি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ চার জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়েছে। পরে ইফরান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম।
এমএইচডি/ওএফ