পরীমণির মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ১৪ নভেম্বর

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন পরীমণির পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে হাজিরা দেন এবং মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ শুনানি শেষে আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি পরীমণির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমণিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ওই লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
এনআর/এসএসএইচ