রমজানে নতুন সময়সূচিতে নিম্ন আদালত

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দেশের অধস্তন আদালতসমূহের কোর্ট ও অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর সই করা সার্কুলারে এ সময়সূচি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোর্ট চলবে। মাঝখানে ১টা ১৫ থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাযের বিরতি থাকবে।
অন্যদিকে প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অধস্তন আদালতসমূহের অফিস চলবে। মাঝখানে ১টা ১৫ থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাযের বিরতি থাকবে।
সোমবার থেকে নিম্ন আদালতে জামিন শুনানি চলবে
সোমবার থেকে দেশের অধস্তন আদালতসমূহে ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি ও জরুরি ফৌজদারি মামলার শুনানি চলবে। রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রসে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনার ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উক্ত সময়ে (সাপ্তাহিক ছুটি ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জিতে ঘোষিত ছুটি ব্যতীত) বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা- আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রদত্ত জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জামিননামা দাখিল করতে হবে। এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপরোক্ত নির্দেশনা বলবত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এমএইচডি/আরএইচ