৪ পথচারী নিহত : পরিবারকে আর্থিক সহায়তার শর্তে চালকের জামিন
রাজধানীর খিলক্ষেতে গাড়ির ধাক্কায় এক শিশুসহ চারজন পথচারী নিহতের মামলায় ল্যান্ড ক্রুজার জিপ গাড়ির চালক নাবিল আল দ্বীন বিশালকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ভিকটিমের পরিবারগুলোর সঙ্গে আপস ও আর্থিক সহায়তা এবং আগামী ধার্য তারিখে ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দেওয়ার শর্তে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে ব্যর্থ হলে জামিন বাতিল হবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চোধুরী। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ধার্য তারিখ ১৩ মে পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামি বিশালের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে চারজনের মৃত্যুর মামলায় আসামির জামিনে ক্ষুব্ধ বাদীপক্ষ। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বলেন, আসামির ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তার কারণে তিনটি পরিবারের চারজন লোকের প্রাণ ঝরে গেছে। আমরা তার জামিনের তীব্র বিরোধিতা করি। বাদী নিজেও আদালতে এসে জামিনের বিরোধিতা করে। তারপরও আদালত তাকে জামিন দিলেন। জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
জানা যায়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া ল্যান্ড ক্রুজার জিপ গাড়ি ফুটওভার ব্রিজের নিচের আইল্যান্ডে ধাক্কা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে যায়। ঘটনাস্থলে আট বছরের শিশু ইয়াসিনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আহত হন শিশু ইয়াসিনের বাবা সুমন মিয়া, উজ্জ্বল পাণ্ডে ও আমরিনা হক নামে তিনজন। তাদের প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে সেখানে উজ্জ্বল পাণ্ডে ও আমরিনা হকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মিয়াও মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত আমরিনা হকের স্বামী এস এম রেজাউল হক খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ২৮ ডিসেম্বর বিশালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে বিশাল কারাগারে আটক রয়েছেন।
এনআর/এমএ