প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : প্রতারক রাজু কারাগারে

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাড়ে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় আসামি মো. জিল্লুর রহমান রাজুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন পল্টন মডেল থানার মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৪ মে মো. মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি জিল্লুর রহমান রাজু মামলার বাদী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে প্রায়ই বিভিন্ন ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনা এবং মাঝে মাঝে টাকা লেনদেন করতো। এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর ব্যবসায়ে নগদ মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় আসামি রাজু তার কাছে ৩০ লাখ টাকা ধার চায়। সুসম্পর্ক থাকায় আসামির প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। পরে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দেওয়ার মাধ্যমে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিন ধাপে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা প্রদান করেন। তখন আসামি রাজু ১৮ মাসের মধ্যে তার সমুদয় পাওনা টাকা সে ফেরত দেবে বলে জানান। কিন্তু আসামি টাকা গ্রহণের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেয়। তবে অবশিষ্ট সাড়ে ২৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামি বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রাতে টাকা ফেরত চাইলে বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরত দেবে না বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তার দেওয়া স্ট্যাম্প বিষয়টিও সে অস্বীকার করে।
উল্লেখ্য, ব্যবসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আসামি জিল্লুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। এ মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনজুরুল হাসান খান আসামি রাজুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
এনআর/জেডএস