বিএনপি নেতা ইশরাকের রিমান্ড শুনানি ২৩ জুলাই

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকাণ্ডে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে ইশরাকের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ইশরাকের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও মহসিন মিয়া। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৩ জুলাই ধার্য করেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৯ মে ইশরাকের বিরুদ্ধে হওয়া ১২ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ১১টি মামলায় জামিন দেন। তবে পল্টন থানার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৫ মে মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ আরো কোনও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জড়িত আছে কী না তাদের তথ্য সংগ্রহসহ ও গ্রেপ্তারের জন্য আসামর দশ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে এদিন ইশরাকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোহরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এনআর/জেডএস