বিত্তবানদের খোলা হাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট করপোরেট আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার আইনজীবী তিনি। এছাড়া শামীম আজিজ ঢাকা ইউনিভার্সিটি এল এল এম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুলা) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই শামীম আজিজ নানাভাবে মানুষকে সহযোগিতা করে আসছেন। করোনা রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ নিয়ে তার ভাবনাগুলো ঢাকা পোস্টের কাছে তুলে ধরেছেন।
ব্যারিস্টার শামীম আজিজ বলেন, করোনার কারণে এবার গ্রামে যাচ্ছি না। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায়ই ঈদ করব। প্রতিবছর এলাকার দরিদ্র মানুষকে শাড়ি-লুঙ্গি দিয়ে থাকি। কিন্তু প্যানডামিকের কারণে এ বছর গ্রামের ও আশেপাশের দরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি করোনার কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। ঢাকাতেও বিভিন্ন দিক দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করছি।
দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি ইসলামের বিধান অনুযায়ী বিত্তবানরা যদি যাকাত দেয়, তাহলে এই সমাজে দারিদ্রতা, হাহাকার থাকার কথা না। এই সময়ে বিত্তবানদের দায়িত্বটা বেশি। ধনীদের সম্পদে গরীবের অধিকার রয়েছে। এটা তো আমাদের ধর্মই বলে দিয়েছে। বিত্তবানদের এই সময়টাতে আরও বেশি খোলা হাতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
ব্যারিস্টার শামীম আজিজ মনে করেন, করোনার এই সময়ে আশেপাশের মানুষকে সাহস দিতে হবে, মানসিক শক্তি যোগাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি মনে করেন আপনি করোনার কারণে ভীত, আপনি নিজে যেতে পারছেন না। কিন্তু মোবাইল ফোন তো আছে। চাইলে ফোনের মাধ্যমেই আপনি আশপাশের সবার খবর রাখতে পারেন। এই সময়ে অন্যকে মানসিক সাহসও দেওয়া একটি বড় কাজ। আপনি নিজে যেমন সবার খোঁজ-খবর রাখবেন, নিজের খবরও জানাবেন। তথ্য জানা না থাকলে তো পাশে দাঁড়ানো যায় না।
এমএইচডি/এমএইচএস