৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র হত্যা : আইনজীবী সাজুর হাইকোর্টে জামিন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার মামলায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজুকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মাহমুদুল হক ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত জামিন দেন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিবেচনায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সেলিনা আক্তার চৌধুরী।
এ মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীরসহ ২৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর ইমরানের মা কোহিনূর আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় এ মামলা করেন।
এ হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির সাবেক উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা, সময় টেলিভিশনের তৎকালীন উপদেষ্টা মোরশেদুল ইসলাম, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তাপ্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাংবাদিক নজরুল কবীর, সময় টেলিভিশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহা, একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও শাকিল আহম্মেদকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির (জেপি–মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ে তারিন হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সালমান এফ রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী কোহিনূর আক্তার এজাহারে লিখেছেন, তার ছেলে ইমরান একজন মেধাবী ছাত্র। তার ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তার ছেলে গত ৫ আগস্ট সকাল নয়টায় যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে বিভিন্ন স্কুল–কলেজের ছাত্র ও সাধারণ জনতার আন্দোলনে অংশ নেন। তখন আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে নস্যাৎ করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপর্যুপরি এলোপাতাড়ি গুলি, পেট্রোলবোমা, ককটেল বিস্ফোরণ, হাতবোমা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইমরান গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এমএইচডি/জেডএস