হাসিনাসহ ১১০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরো ৩ অভিযোগ
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যা-গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১১০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে পৃথক তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম অভিযোগ
গত ১৯ জুলাই উত্তরায় মোহাম্মদ সাব্বির ইসলাম সাকিবকে পাঁচটি গুলি করা হয়। রাত তিনটায় ৩০ মিনিটের মধ্যে জানাজা দিয়ে দাফন করতে বাধ্য করা হয়। অন্যথায় পুলিশ লাশ নিয়ে যেতে চায়। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
ভিকটিমের বাবা মো. শহিদুল মল্লিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামি শেখ হাসিনাসহ ৬০ জন।
দ্বিতীয় অভিযোগ
গত ১৮ জুলাই ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে মোহাম্মদ তারা মিয়াকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করা হয়। যে গুলি তার চোখে-মুখে, গলায় ও বুকে লাগে। তিনি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে চোখের চিকিৎসা করেন। পরবর্তীতে সিএমএইচে ভর্তি হয়ে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আসামি শেখ হাসিনাসহ ২৭ জন। বাদী ভিকটিম নিজেই।
তৃতীয় অভিযোগ
গত ৫ আগস্ট গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় অবস্থিত শফিপুর আনসার ভিডিপি অ্যাকাডেমির সামনের ঘটনা। সেদিন ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ হায়াতুল্লাহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামি শেখ হাসিনাসহ ২৩ জন।
বাদী মোহাম্মদ হায়াতুল্লাহর পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর ভিকটিম তার বড় ভাই সোহাগ মিয়ার সঙ্গে ঘটনাস্থল এলাকায় আনন্দ মিছিল করেন। এ সময় পুলিশ এবং আনসার বাহিনী আসামিকে গুলিবর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১৬ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ভিকটিমের লাশ পাওয়া যায়।
এমএইচডি/এমজে