স্ত্রীসহ সাবেক দুই এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান এবং নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান ও স্ত্রী আফরোজ সুলতানার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
সাদেক খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ-পূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্যে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাদেক খান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৎকালীন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমানে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড) চারবারের কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন
এসব দায়িত্বে থেকে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা যায়। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার স্ত্রীসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আশরাফ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে আয় আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ গঠিত তিন সদস্যের টিমের কাছে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, আশরাফ খান তার অবৈধ আয়ে নিজ এলাকায় আনুমানিক ৫১ লাখ টাকার কৃষিজমি, প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট, ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা মৌজায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট এবং রাজউকের উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের প্রায় ৩২ লাখ টাকার প্লট কিনেছেন। এ ছাড়া স্ত্রী আফরোজা সুলতানার নামে বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক কোটি টাকার প্লট, ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
আশরাফ খান এবং তার স্ত্রী আফরোজা সুলতানা অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়ত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এনআর/এসএসএইচ