গান বাজনায় বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা : ৬ জন রিমান্ডে

রাজধানীর ভাটারা থানার জোয়ার সাহারা এলাকায় রাতে উচ্চস্বরে গান বাজনায় বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় ছয় জনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ ভাটারা থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক একদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।’
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. জীবন হোসেন, মো. আরিফুর রহমান সুনাম, মো. রহিম, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আরাফাত রহমান মনি ও আবদুর রহিম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রোববার (১৬ মে) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে কিছু লোকজন ভাটারা থানা এলাকার জোয়ার সাহারা খাঁপাড়া আবুল বারেক খান রোডের বাদশার গাড়ির গ্যারেজের ভেতর সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে উচ্চস্বরে গান-বাজনা করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে। এরপরে পুলিশ এসে তাদের উচ্চস্বরে গান-বাজনা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু তারা গান-বাজনা বন্ধ না করে বরং বাজাতে থাকে এবং পুলিশকে চলে যেতে বলে গান বাজাতে থাকেন। এ সময় পুলিশ ও আসামিরা একে অপরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জন আসামি উপস্থিত পুলিশের পোশাক টেনেহিঁছড়ে ছিঁড়ে ফেলে। সঙ্গে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে এক নম্বর আসামি মো. জীবন হোসেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে মাথায় ও ডান হাতের তালুতে জখম করে।
এছাড়া অন্য আসামিদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে মোহাম্মদ আলীর বাম চোখের নিচের অংশ মারাত্মক জখম হয়। আসামিদের মারধরের কারণে ভাটারা থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা জখম হন। এরপর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
টিএইচ/জেডএস