১০ হাজার টাকা জরিমানা : ক্ষমা চাইলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ

১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া থেকে বাঁচতে আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
বুধবার (১৯ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে ভার্চুয়ালি হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে বলেন, মাই লর্ড আপনার আদালতের জুম আইডি পরিবর্তন হওয়ায় আমি ওইদিন আদালতে শুনানিতে অংশ নিতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাইছি। আমাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মাফ করে দিন। আমি ক্ষমা চাইছি।
তখন আদালত বলেন, মিস্টার আকন্দ আপনি তো দেশের একজন জনপ্রিয় মানুষ। জরিমানার ঘটনা মিডিয়ায় এসেছে। তাই আপনি লিখিতভাবে আপনার কথাগুলো আদালতকে জানান। আমরা বিষয়টি দেখব। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৪ মে লকডাউন চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। বারবার বলা পরও শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ করে দেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, রিট করে তিনি মিডিয়ায় প্রচার করেন। কিন্তু মামলা তালিকায় আসার পর তিনি আর কোর্টে থাকেন না।
আলোচিত বিষয় নিয়ে ‘জনস্বার্থের’ নামে রিটকারী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত বছরের ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন। এতে গুরুতর আদালত অবমাননা হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আপিল বিভাগ। ওই ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে তাকে তিন মাসের জন্য আইনপেশা থেকে বরখাস্ত করেন আদালত।
এমএইচডি/জেডএস