বিদেশি নাগরিকের শেয়ার জব্দের নির্দেশ আদালতের

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ রাজ্যের ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের সাবেক সিও ড. খাতের ম্যাসাডের বিনিয়োগ করা তিন প্রতিষ্ঠানের সব শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- স্টার সিরামিকস, স্টার ফোরসিলেন ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশ সরকারে পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ আবেদন করেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে ড. খাতের ম্যাসাডের নামে বাংলাদেশের স্টার সিরামিকস, স্টার ফরসিলেন ও রাকিন ডেভেলপমেন্টের সব শেয়ার জব্দের নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে জব্দ করা শেয়ার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ রাজ্যের ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন নিযুক্ত প্রতিনিধিকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ইমরান আহমেদ ভুইয়া (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চত করেছেন।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ রাজ্যের ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের সাবেক সিও ছিলেন ড. খাতের ম্যাসেড। ওখানে দ্বায়িত্বে থাকার সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। সে অভিযোগে তার বিচার হয়, সেই বিচারে তার সাজা হয়।বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে গ্রেফতার রয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশের সরকারকে অনুরোধ করেছে যে বাংলাদেশে তার ইনভেস্টমেন্ট আছে সে ইনভেস্টমেন্টগুলো তাদের নিযুক্ত কর্তৃপক্ষকে দিতে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে মানিলন্ডারিং আইনে ২৬(৪) ধারায় এ আবেদন করেন।
ড. খাতের ম্যাসেড হলেন লেবাননের নাগরিক ও সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্টধারী একজন ব্যাক্তি। তার বাংলাদেশে একাধিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
টিএইচ/জেডএস