রাজধানীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

চার বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের দক্ষিণ মুন্সিহাটি এলাকায় চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মো. নাসির (২৫) নামে এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন রায় ঘোষণার আগে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ে, আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভিকটিম বা তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
জানা যায়, আসামি নাসির বিভিন্ন অজুহাতে তাকে (ভিকটিম) আদর করতেন ও চকলেট বিস্কুট কিনে দিতেন। ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর দুপুর ২টার পর আসামি নাসির ভিকটিমকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে কামরাঙ্গীরচর থানাধীন দক্ষিণ মুন্সিহাটি নুরু বাবুর্চির বাড়ির পেছনে আলমগীরের খানা ভুলি কারখানার অফিস রুমের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় ভিকটিম চিৎকার করলে এক পর্যায়ে আসামি তাকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম কান্না করতে করতে বাসায় এসে তার মাকে (এজাহারকারীকে) ঘটনাটি জানায়। পরে ভিকটিমের মা ও তার স্বামী আসামিকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে সে পালিয়ে যান। ভিকটিমকে প্রথমে কামরাঙ্গীরচর ডলফিন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করে। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
মামলার দায়েরের পর একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মো. নাসিরকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করতে রাজি হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট মো. মামুনুর রশিদ ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এদিকে মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রিয়াদ উদ্দিন ২০২২ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এনআর/এমএন