ভাটারায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দোষ স্বীকার করলেন স্বামী
রাজধানীর ভাটারা ছোলমাইদ পূর্ব পাড়া এলাকায় স্ত্রী জোবাইদাকে (২৫) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার রিকশাচালক আবুল কাশেম (৩৫) দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (১২ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সুমন মিয়া তাকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে আবুল কাশেম হত্যার দোষ স্বীকার করতে স্বেচ্ছায় সম্মত হলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার (১১ জুন) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, কাশেম ও জোবাইদার মধ্যে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে কাটাকাটি হয়। পরে জোবাইদাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন কাশেম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাটারা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) পীযূষ কুমার সরকার বলেন, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে যেকোনো সময় ঘুমের মধ্যে ওই নারীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্বামী আবুল কাশেম। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ওই নারীর দুটি ছেলে রয়েছে। স্বামী আবুল কাশেম পেশায় একজন রিকশাচালক।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুক্তারুজ্জামান ঢাকা পোস্ট কে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে জোবাইদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি।
টিএইচ/এইচকে