সাবেক সচিব শফিকুল কারাগারে

ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব ভুইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি শফিকুল ইসলাম মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় ‘মঞ্চ ৭১’ নামক সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ ঘটে। আসামি এই মামলার এজাহারনামীয় আরেক আসামি লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে গোপন বৈঠক ও যোগাযোগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আনন্দলোক ইকো রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর গোলটেবিল অনুষ্ঠান থেকে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলামের দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাবেক সচিব শফিকুল এই ‘মঞ্চ ৭১’ নামের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলে অভিযোগ আছে। শাহবাগ থানার একই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়েছে, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (৭৫) ও অন্যরা ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছিলেন। তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও অন্যদেরকে প্ররোচনার অপরাধ করেছেন।
মামলা দায়ের করার সময় যাদের আসামি করা হয়েছিল তারা হলেন— সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো.আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
এনআর/এআইএস