উত্তরায় হত্যাযজ্ঞ : ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন
এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। সঙ্গে ছিলেন, প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার।
প্রসিকিউশনের পক্ষে ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ অক্টোবর তাদের হাজিরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- মো. সোহেল রানা ও মো. শাহ আলম। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন তারা। এর মধ্যে সোহেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় ও শাহ আলমের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। তবে দুজনই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তরায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করা হয়।
এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
ওই দিন সকালে ৯ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। আতিক ছাড়া অন্যরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় সাবেক মেয়র আতিকসহ আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তাতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন আসামিরা।
এমআরআর/এমএসএ