আদালতে আত্মসমর্পণের পর বিএনপি নেতা মোশাররফ কারাগারে

২০১৩ সালে রাজধানীর লালবাগ থানার গাড়ি পোড়ানোর মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মোশাররফ। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তার আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, ২০১৩ সালে লেগুনা গাড়ি পোড়ানোর এক মামলায় সাড়ে তিন বছরের সাজা দেন ঢাকার একটি আদালত। অথচ এই গাড়ির কোনো অস্তিত্ব নেই। আজ সেই মামলায় মোশাররফ হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের নভেম্বরে নাশকতার অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর ৭৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে লালবাগ থানা পুলিশ। পরের বছর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে তিন বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাজি আলতাফ, জামালুর রহমান চৌধুরী, শফিউদ্দিন আহমেদ সেন্টু, মো. সাইদুল ইসলাম, জিয়ার আলী তাইয়্যন, সাঈদ হোসেন সোহেল ওরফে ক্যাপ সোহেল, হাজি ফয়সাল, আরমান হোসেন বাদল, মো. জুম্মন, ফয়সাল আহম্মেদ, মো. তাজু, মো. রাসেল, রমজান আলী, মো. জিয়া, মুজিবুর রহমান, পলাশ চেীধুরী, জানে আলম, সজিব আহম্মেদ শিবলু। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৩ সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এনআর/জেডএস