ঢাকার নিম্ন আদালত ফিরে পেয়েছে পূর্বরূপ

দীর্ঘ দুই মাস ১৫ দিন পর অধস্তন আদালতের ভার্চুয়াল বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। রোববার (২০ জুন) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু হয়েছে। 

শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হওয়ায় ঢাকার নিম্ন আদালত ফিরে পেয়েছে আগের সেই ব্যস্ত রূপ। শুরুর দিনটি বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীরা কাটিয়েছেন।  

রোববার পুরান ঢাকার নিম্ন আদালত ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের চাপ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এজলাসে হাজির হচ্ছেন। 

আদালতের সার্বিক বিষয়ে আইনজীবী সৈয়দ মো. আসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম দীর্ঘদিন পর চালু হওয়ায় পর বেশ ভালই লাগছে। তবে প্রথম দিন চাপ একটু কম। আমরা চাই, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা আদালতের এজলাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাজির হোক। বিষয়টি যেন কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে নজরদারি রাখে। 

শনিবার (১৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন আদালতের কার্যক্রম চালুর বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, অধস্তন সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে রোববার থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। 

এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক দেশের কোনও জেলা সদর বা মহানগরে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোডিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী বা চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করা হলে সংশ্লিষ্ট জেলার বা মহানগরের দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি দরখাস্ত শুনানি করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় যেক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে ধার্য তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাস কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা নেই। 

আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত) সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক বা আপিল বা রিভিশন কিংবা রিভিউ শুনানি এবং দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর দুইটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত) জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্ত শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্তে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

টিএইচ/আরএইচ