কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে আদালতপাড়া, সন্দেহ হলেই জিজ্ঞাসাবাদ

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকা কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। চার বাহিনীর সদস্যরা (সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব) আদালতপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে কড়া অবস্থান নিয়েছে। কোথাও সামান্য সন্দেহ হলেই পথচারীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, দেখা হচ্ছে পরিচয়পত্র ও ব্যাগপত্র।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত আদালতপাড়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রায় ঘোষণার দিন হিসেবে আজকে ‘উচ্চঝুঁকির সকাল’ ধরেই পুরো এলাকায় বহুস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে হাইকোর্ট মোড়, সুপ্রিম কোর্টের মূল গেট থেকে মাজার গেট পর্যন্ত টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম সাধারণ দিনের তুলনায় বহু গুণ বাড়ানো হয়েছে। মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র দেখা, হাঁটতে থাকা মানুষকে পথের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করা- সব মিলিয়ে পরিবেশে সতর্কতার চাপা উপস্থিতি স্পষ্ট।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থান মাজার গেট এলাকায় সবচেয়ে দৃশ্যমান। আদালতপাড়ার ভেতরে র্যাবের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির টহল দল সুপ্রিম কোর্টের চারদিকে ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছে।

মগবাজার থেকে এসেছিলেন আইনজীবী সানজিদা রহমান। তিনি বলেন, দুই জায়গায় আমাকে ব্যাগ খুলে দেখাতে হয়েছে। এমন দিন আগে কখনও দেখিনি।
নিকটবর্তী দোকানকর্মী ইমরান বললেন, সকাল থেকেই পরিবেশ অন্যরকম। কেউ দাঁড়ালেই জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাচ্ছেন।

ট্রাইব্যুনালের ভেতরেও কড়াকড়ি আরও বেশি। অনুমোদন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তাসদস্য বলেন, আজ ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
রায় বড় পর্দায় দেখানোর উদ্যোগ থাকায় শহরের অন্য অংশেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্পটে গোয়েন্দা সংস্থার টিম অবস্থান নিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও উত্তেজনা বা অস্থিরতার খবর নেই, তবে আদালতপাড়ার পুরো চত্বরে ‘সতর্কতা সর্বোচ্চ’ মানেই আজকের সবচেয়ে দৃশ্যমান অবস্থা।
টিআই/এমএসএ