ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় দেশের অন্যতম বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আবেদনকারীর আইনজীবী আলী আজগর ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউনিলিভারের চেয়ারম্যান জাবেদ আক্তার, সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল কুদ্দুস খান, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর জিনিয়া হক এবং কাস্টমার বিজনেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান সাদমান সাদিকিন— এই চার কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি এই বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, বিপনন প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ট্রেডিং কর্পোরেশন এবং মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রায় দুই যুগ ধরে ইউনিলিভারের পণ্য বিপণন ও বাজারজাত করে আসছে। কিন্তু গত জুলাই মাসে একটি চিঠি দিয়ে একতরফাভাবে চুক্তি বাতিল করার নোটিশ দেয় ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে এই দুটি প্রতিষ্ঠান চুক্তির শর্তানুযায়ী সালিশকারী নিয়োগের জন্য সালিশ নোটিশ দেয়।
ইউনিলিভার সালিশে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে অগ্রণী ট্রেডিং করপোরেশন এবং মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ইউনিলিভারের চুক্তি বাতিলের চিঠি কার্যকর না করার জন্য এবং অন্য কাউকে এদের স্থলে পরিবেশক নিয়োগ না দেওয়ার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি আবেদন জানায়। আদালত আবেদনের ওপর শুনানি না করে আগামী ২৮ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখেন। এরপর প্রতিষ্ঠান দুটি হাইকোর্ট বিভাগে আবারও মামলা দায়ের করায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর আদালত প্রতিষ্ঠান দুটির চুক্তি বাতিলের চিঠি এবং তৃতীয় পক্ষকে পরিবেশক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। এতে ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করলে আদালত কোনো আদেশ দেননি।
স্থিতাবস্থা বহাল থাকা অবস্থায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ অম্যান্য করে নতুন করে তৃতীয় পক্ষকে পরিবেশক নিয়োগ দেওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠান দুটিকে কার্যাদেশ অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না করায় হাইকোর্ট বিভাগ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বলেও জানান আইনজীবী আলী আজগর ফয়সাল।
এমএইচডি/এমজে