তাইম হত্যায় ৯ জনের নামে পরোয়ানা, দুজনকে হাজিরের নির্দেশ

জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমাম হাসান তাইম হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ৯ জনের নামে ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুজনকে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অপর সদস্য জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলায় আনা সুনির্দিষ্ট একটি অভিযোগ পড়ে শোনান। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কোথায়, কীভাবে, কার নেতৃত্বে বা গুলিতে তাইমকে হত্যা করা হয়েছে, তা বর্ণনা দেন। পরে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গ্রেপ্তারদের হাজিরের ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ মামলায় দুজন গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন– যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান ও তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন।
হাবিবুর ছাড়া পলাতক অন্যরা হলেন– ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, ওয়ারি জোনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন, এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, ডেমরা জোনের তৎকালীন এডিসি মো. মাসুদুর রহমান মনির, তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস, যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ওহিদুল হক মামুন, এসআই (নিরস্ত্র) সাজ্জাদ উজ জামান ও মো. শাহদাত আলী।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাইম। তার বাবা মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়াও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক। ওই দিন বন্দুর সঙ্গে বেরিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলি খেয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ছেলের মরদেহ পেয়ে ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ময়নাল বলেন, ‘স্যার, আমার ছেলেটা মারা গেছে। বুলেটে ওর বুক ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। স্যার, আমার ছেলে আর নেই। এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, একজনকে মারতে কতগুলো গুলি লাগে স্যার।’
এমআরআর/বিআরইউ