টিকটক-লাইকি-পাবজি বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বুধবার
টিকটক, বিগো, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো সব অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ আগামীকাল বুধবার।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সরোয়ার পায়েল।
গত ২৪ জুন সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সব অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ রিট দায়ের করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের আইজিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জুন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে এসব অনলাইন গেমস ও অ্যাপস বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমসে দেশের যুবক এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেমস যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
ওই নোটিশে আরও বলা হয়, এসব অ্যাপস ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর ও যুবকেরা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এবং সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় পুল পার্টির নামে অনৈতিক কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থ পাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভের মাধ্যমে চলছে। যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। এছাড়াও দেশের শিশুরা বিভিন্ন অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
নোটিশে বলা হয়, এই বিষয়টি মনিটরের জন্য এবং সময়ে সময়ে শিশুদের জন্য উপযোগী যথাযথ অনলাইন গেমস সুপারিশ করার জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সকল অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে এসব ক্ষতিকারক অ্যাপস অবিলম্বে অপসারণ এবং এসব অ্যাপসের লিংক বন্ধের অনুরোধ। একই সঙ্গে এসব বিষয় মনিটরের জন্য ও শিশুদের উপযোগী যেসব অনলাইন গেমস রয়েছে সেগুলো সুপারিশের জন্য একটি মনিটরিং, ইভালুয়েশন এবং সুপারিশ কমিটি গঠন করার অনুরোধ করা হয় নোটিশে। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বলে জানান আইনজীবীরা।
এমএইচডি/এইচকে