হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই সহযোগী রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম সহযোগী হাজেরা খাতুন ও সানাউল্ল্যাহ নূরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পল্লবী থানার আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, রোববার পল্লবী থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
এর আগে, বুধবার (৪ আগস্ট) তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। গত ৩ আগস্ট সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে হাজেরা খাতুন ও সানাউল্ল্যাহ নূরীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
হাজেরা খাতুন জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম ও জয়যাত্রা টিভির জিএম (অ্যাডমিন) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আর সানাউল্ল্যাহ নূরী জয়যাত্রা টিভির প্রতিনিধি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আটক হাজেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান- ২০১৮ সালে হংকং থেকে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ নিয়ে জয়যাত্রা টিভি চালু হয়। এ জন্য হংকংয়ে প্রতি মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। অথচ হংকং থেকে বরাদ্দ ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে চ্যানেল সম্প্রচারের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। এরপর জয়যাত্রা টিভির সম্প্রচারের জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের ক্যাবল ব্যবসায়ীদের কাছে রিসিভার সরবরাহ করা হয়। প্রতিনিধিরা ক্যাবল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সম্প্রচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুতসহ অন্য প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে তাদের হেনস্তা করা হতো।
দেশের প্রায় ৫০টি জেলায় জয়যাত্রা টিভি সম্প্রচারিত হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগে ৩০-৫০ হাজার টাকা, উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগে ১০-২০ হাজার টাকা এককালীন দিতে হতো। এছাড়া প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে দুই-পাঁচ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। জয়যাত্রা টিভি প্রায় ৩৪টি দেশে সম্প্রচারিত হয়, যেখানে দেশের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিনিধি নিয়োগে এক-পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হতো। এছাড়া তাদের কাছ থেকে মাসিক ২০-৫০ হাজার টাকা নেওয়া হতো।
টিএইচ/ওএফ