জামিন পাননি গোল্ডেন মনির

গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ জসীম রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২২ নভেম্বর সকালে তার বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। ২২ নভেম্বর এসব মামলায় তাকে ১৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর তার ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ জানায়, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ১০ দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মোট ৩ মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও জানায়, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন। এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লটের মালিক হন।
অভিযোগ আছে, তিনি বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী। তার বিরুদ্ধে থাকা ভূমি জালিয়াতির ৭০টি রাজউকের নথি ২০১৯ সালে নিজ কার্যালয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখা সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেটাও চলমান রয়েছে।
টিএইচ/এফআর