শিশুর ঘাড়ে ভাই হত্যার দায় : তদন্ত কর্মকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাই হত্যার দায় ১২ বছরের শিশু বড় ভাই সৌরভের ঘাড়ে চাপানোর ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সারিয়াকান্দি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নয়ন কুমার।
রোববার (২২ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তবে আদালত তার ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এসময় পিবিআইয়ের বগুড়ার উপ-পরিদর্শক মনসুর আলী আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ১০ আগস্ট বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাই হত্যার দায় ১২ বছরের শিশু বড় ভাই সৌরভের ঘাড়ে চাপানোর ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তারা হলেন পিবিআইয়ের বগুড়ার উপ-পরিদর্শক মনসুর আলী ও ওই মামলায় প্রথম চার্জশিট দেওয়া সারিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক নয়ন কুমার। মামলার নথিসহ তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
গত ২৯ জুন হাইকোর্ট তাদেরকে ৩ আগস্ট হাজির হতে বলেছিলেন। কিন্তু ওইদিন করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় শুনানি হয়নি।
গত ২০ জুন বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাই হত্যার দায় বড় ভাই সৌরভের ঘাড়ে চাপানোর ঘটনায় আদালত বলেছিলেন, এমন ঘটন যদি সত্যি হয়ে থাকে এটা হবে দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. শিশির মনির।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। ওই বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালি গ্রামের একটি পাটখেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাই সৌরভকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেওয়া হয়।
এমএইচডি/জেডএস