যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যের জামিন আদেশ প্রত্যাহার

২০০৫ সালে ফেনীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর ও পৌরসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য রেদওয়ানুল হক ওরফে রেদওয়ানের জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসিনা জাহান হাজারী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্ম্দ রেজাউল হক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদনকারীর আইনজীবী মামলার ঘটনাকে গোপন করে গত ১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে আমরা ফাইল ঘেঁটে দেখি আবেদনকারী নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবির সদস্য। ফেনীর আদালত চত্বর ও পৌরসভা এলাকায় ২০০৫ সালে বোমা হামলা ঘটিয়েছেন। সে ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তার যাবজ্জীবন হয়েছে। ১৫ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিন দেওয়ার আগে আদালত বারবার জিজ্ঞেস করেছিলেন কিন্তু আইনজীবী এ বিষয়টি বলেননি। রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদেশটি রিকল করা হয়। আজ আদালত তার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।’
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের অন্যান্য জেলার মতো ফেনীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর ও পৌরসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)। সে ঘটনায় ওইদিনই বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি আলাদা মামলা করে পুলিশ। ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর এ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে কারাগারেই আছেন আসামি। পরে ওই বছরের ১০ নভেম্বর দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুটি মামলাতেই আসামি ৬ জন। বিচারিক কাজ শেষে ২০০৬ সালের ৩ ও ১৭ জুলাই ফেনী জেলা জজ আদালত মামলার রায় দেন। রায়ে ৬ আসামিকেই যাবজ্জীবন দেন বিচারিক আদালত। ওই বছরই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এই আসামি।
এমএইচডি/জেডএস