ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে কর সার্কেলের প্রধান সহকারীর সাক্ষ্য

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন কর সার্কেল-১৪’র প্রধান সহকারী কাজি ইয়ার। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬’র বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
• অপর আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
• ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলাটি করেন।
• মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।
গত ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১ জুলাই মিজান হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন। এরপর ওই দিন শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। পরের দিন (২ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর ২০১৯ সালের ৪ জুলাই ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উভয় আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।
টিএইচ/এইচকে