মৃত নারীদের ধর্ষণ : আদালতে মুন্নার দায় স্বীকার

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার মুন্না ভগত আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) কর্মকর্তা এএসআই ফারুক হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার (৩০ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড শেষে আসামি মুন্নাকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামি মুন্না স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
তার বিরুদ্ধে করা পৃথক দুই মামলায় গত ২৫ জানুয়ারি দুদিন করে মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, মুন্না ভগত বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতেন।
সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলেন। এমন একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছিলেন।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, মৃত নারীদের ধর্ষণ করা পৃথিবীর জঘন্যতম একটি কাজ। সুস্থ ও স্বাভাবিক কেউ এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে না। গ্রেপ্তার মুন্না বিকৃত মানসিকতার। তা না হলে এমন কাজ তার করার কথা নয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করছিলেন। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরও দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকতেন।
টিএইচ/এফআর