সালিশের ‘সুযোগে’ কিশোরীকে বিয়ে, হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন

সালিশের ‘সুযোগ’ নিয়ে কিশোরীকে বাল্য বিয়ে করেছিলেন পটুয়াখালীর কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। হাইকোর্টে আসা পিবিআই ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনেও এ তথ্য এসেছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত বছরের ২৭ জুন প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়া দুই কিশোর-কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিশে কিশোরীকে চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করেন। পরে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পটুয়াখালীর ডিসি, জেলা নিবন্ধক ও পিবিআইকে তদন্ত করে আলাদা তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন আদালত।
এ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও ইকরামুল হক টুটুল বিষয়টি নজরে আদালতের আনেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলে এক যুবক ও কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সালিশ বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান (৬০) নিজেই ওই কিশোরীকে (১৪) বিয়ে করেছেন। ২৫ জুন উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সালিশ বৈঠকে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। মেয়ের বাবা এতে রাজি হলে বিকেলেই কাজি ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে মেয়েটিকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।
বিয়ের কাবিন নামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও পিএসসি পাসের সনদ অনুযায়ী মেয়েটির জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রথম স্ত্রী আছে। সেই সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেকে বিয়ে দিয়েছেন।
এমএইচডি/এমএইচএস