কলেজের গ্রন্থাগারিক পদে বেতন নির্ধারণে হাইকোর্টের রুল

জাতীয়করণকৃত কলেজের গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন, অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, জাতীয়করণকৃত কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরত কর্মকর্তারা ৯ম ও ১০ গ্রেডে এমপিও ভুক্ত হন এবং কলেজ জাতীয়করণের পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ৯ম ও ১০ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আদেশ প্রদান করেন। তদানুসারে ০১/১২/২০২১ ও ১২/০১/২০২২ তারিখে ১৪ ও ১৬ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে চিঠি ইস্যু করেন। অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ০৬/০২/২০১৩ ও ০৯/০৮/২০১৭ তারিখে একই ধরনের কর্মকর্তাদের ৯ম ও ১০ গ্রেডে বেতন অনুমোদন করেন। যা বৈষম্যমূলক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
এর আগে জাতীয়করণকৃত কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরতদের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের বেতন নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাখ্যান আদেশ এবং ১৪ ও ১৬ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৩ জন গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক রিট দায়ের করেন।
আবুল কালাম মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রূপনা মজুমদার, শাহজাদি আক্তার, বিপ্লব কুমার দাস, রাবিয়া আক্তার, আনিচাত-উর-রাইয়ান বিনতে খুরশেদ, মোহাম্মদ লুৎপর রহমান, এ.কে.এম রেজাউল করিম এবং সেলিম হোসেনসহ ২৩ জন রিট দায়ের করেন।
এমএইচডি/ওএফ