নারী কাউন্সিলরদের সনদ প্রদানের ক্ষমতা না থাকা কেন অবৈধ নয়

সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলরদের মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সনদ, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদানের ক্ষমতা না থাকা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
এর আগে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সনদ, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরদের সনদ প্রদানের ক্ষমতা না দেওয়ারও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংরক্ষিত আসনের তিন নারী কাউন্সিলরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
তিন আবেদনকারী হলেন- খালেদা আলম, সাহেদা বেগম ও নাসরিন রশিদ পুতুল।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করেন।
সেখানে বলা হয়, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান করার দায়িদায়িত্ব, কার্যাবলী ও সুযোগ সুবিধা বিধিমালা-২০১২ অনুচ্ছেদ নম্বর ৩(৩) অনুসারে সাধারণ কাউন্সিলরদের ওপর অর্পিত। এ জাতীয় সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলররা প্রদান করার আইনগত/বিধিগত সুযোগ নেই।
আবেদনে বিধিমালার ৩(৩) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২৮ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের দাপ্তরিক আদেশ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জনতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আবেদনে আইন সচিব, এলজিআরডি সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইন অনুসারে মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের দেওয়ার সুযোগ নেই-ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
এমএইচডি/জেডএস