সঠিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে হেভি ফ্লো কোনো ব্যাপারই না
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো খুবই কমন একটি ব্যাপার। পিরিয়ডের শুরুতে হেভি ফ্লো থাকবেই। আর প্রতিটি মেয়েই পিরিয়ডের হেভি ফ্লোর দিনগুলোতে একটু দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এছাড়া পিরিয়ডের সময় দীর্ঘ ভ্রমণও অনেক নারীর জন্য রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়।
অন্যদিকে হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘসময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা নিয়ে নানা ভ্রান্তধারণা প্রচলিত থাকায়, কর্মজীবী নারীরা পিরিয়ড নিয়ে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘসময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সঙ্গে গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি এর সঙ্গে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হওয়ার যে ধারণা বিদ্যমান সেটিও ভিত্তিহীন।
পিরিয়ডের হেভি ফ্লো দিনগুলোতে হ্যাসেল ফ্রি থাকতে কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন। সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা সম্পন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে হেভি ফ্লো নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। কতক্ষণ পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো উচিত, এই পুরো বিষয়টি নির্ভর করে পিরিয়ডের ফ্লো এবং ন্যাপকিনের শোষণক্ষমতার ওপর। কারো ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লোর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘণ্টা ব্যবহার করা সম্ভব।
হেভি ফ্লোর এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সঙ্গে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। একইসঙ্গে কিছু হাইজিন মেনে চলা অনেক জরুরি। পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করা উচিত যাতে ইনফেকশন না ছড়ায়। মাসে পিরিয়ড সাইকেলের ট্র্যাক রাখার জন্য হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, এতে হেভি ফ্লো সহজে ট্র্যাক রাখা সহজ।
সঠিক ও সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা সম্পন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করার ট্রাই করুন, তাহলে যে কারো কাছে হেভি ফ্লো কোনো ব্যাপারই না।