লোমকূপ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়
তেল, মৃত কোষ বা ময়লা জমা হলে ধীরে ধীরে ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তখন ত্বকের ছিদ্রগুলো আরও দৃশ্যমান হয়। স্ক্রাবিং বা অতিরিক্ত পরিষ্কার করার ফলে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। ওপেন পোর এখন অনেকেরই ত্বকের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোমকূপ বন্ধ করার জন্য অনেকে অনেক ধরনের পণ্য ব্যবহার করেন। তবে সবচেয়ে কার্যকরী ও উপকারী পদ্ধতি হলো প্রাকৃতিক উপায় বেছে নেওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. আলতো করে পরিষ্কার করুন
দিনে দুইবার হালকা ক্লিনজার যথেষ্ট। হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন এবং জোরে ঘষে পরিষ্কার করা এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত পরিষ্কার করলে তা ত্বককে ছিদ্র করে দেয়, যা আরও তেল সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলোকে বড় দেখায়।
২. মুলতানি মাটির মাস্ক
সপ্তাহে একবার বা দুইবার যথেষ্ট। এই মাটি অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে সাহায্য করে যা লোমকূপ বন্ধ করতে কাজ করে। তবে প্রতিদিন মাস্কিং করলে তা ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই প্রতিদিন এটি ব্যবহার করা যাবে না। নিয়মিত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুইবার মুলতানি মাটির মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
৩. ত্বক তৈলাক্ত মনে হলেও ময়েশ্চারাইজ করুন
ডিহাইড্রেটেড ত্বক আরও বেশি তেল তৈরি করে। যা আরও ওপেন পোরস তৈরি করে। হালকা ধরনের ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা সময়ের ধীরে ধীরে ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে। তাই আপনার ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলেও ময়েশ্চারাইজিং বন্ধ করবেন না।
৪. নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
প্রতিদিন SPF 30+ দীর্ঘমেয়াদী যত্ন, বিশেষ করে যদি আপনি বাইরে সময় কাটান। UV রশ্মির সংস্পর্শে কোলাজেন ভেঙে যায়, যা ধীরে ধীরে ত্বকের ছিদ্রগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার একটি নীরব রক্ষণাবেক্ষণ যা ধীরে ধীরে ফল দেয়।
৫. ছোট ছোট অভ্যাস
পর্যাপ্ত ঘুম। ওয়ার্কআউটের পরে মুখ ধোয়া। পানি পান করা। দীর্ঘ স্ক্রলিং স্পেলের সময় আপনার মুখ থেকে হাত দূরে রাখা। এগুলো খুব বেশি কষ্টের কাজ নয়। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা ও ময়েশ্চারাইজিং করার অভ্যাস ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। লোমকূপ বন্ধ করতে এগুলো মেনে চলুন।
এইচএন
