জ্বর ঠোসা সারানোর উপায় জেনে নিন

Dhaka Post Desk

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:০২ পিএম


জ্বর ঠোসা সারানোর উপায় জেনে নিন

জ্বর ঠোসা খুব পরিচিত একটি সমস্যা। এটি যতটা না যন্ত্রণাদায়ক, তার থেকে অনেক বেশি অস্বস্তিদায়ক। মুখের সৌন্দর্য নষ্টের জন্যও এটি অনেকাংশে দায়ী। জ্বর ঠোসা আকারে বেশ ছোট তবে তরল দিয়ে পূর্ণ থাকে। সাধারণত ঠোঁটেই এটি দেখা দেয়। এই ফোসকা ফেটে গেলে শুকানো পর্যন্ত শক্ত আবরণ তৈরি করে।

সাধারণত জ্বর ঠোসা নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। এটি পুরোপুরি সেরে যেতে প্রায় মাসখানেক সময় লেগে যায়। ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে দ্রুত ও সহজে জ্বর ঠোসা সারিয়ে তোলা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই সমাধানগুলো কী-

Dhaka Post

কাঁচা রসুনের ব্যবহার

জ্বর ঠোসা সারাতে কার্যকরী একটি উপাদান হতে পারে রসুন। ছোট একটি রসুনের কোয়া বেটে নিন। এরপর আক্রান্ত স্থানে সরাসরি ব্যবহার করুন। দিনে দুই কিংবা তিনবার এভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আবার উপকার পেতে কাঁচা রসুন খেতে পারেন খালি পেটে।

Dhaka Post

দুধের উপকারিতা

একটি পাত্রে কিছুটা দুধ নিন। এবার একটি তুলোর বল তাতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এরপর কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এভাবে দুই ঘণ্টা পরপর ব্যবহার করুন। দুধে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল প্রপার্টি। সংক্রমণ দূর করার পাশাপাশি এটি ত্বকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।

Dhaka Post

জ্বর ঠোসা সারাবে আইস কিউব

ফ্রিজে আইস কিউব রাখেন নিশ্চয়ই? এই আইস কিউব ব্যবহার করতে পারবেন জ্বর ঠোসা দূর করার কাজে। একটি আইস কিউব নিয়ে আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। কিন্তু ঘষাঘষি করবেন না। দিনে কয়েকবার এমনটা করতে পারেন। এটি জ্বর ঠোসা দ্রুত সারাতে সাহায্য করবে।

Dhaka Post

নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন যে কারণে

একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় ও কিছুটা নারিকেল তেল নিন। এবার তেলে কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে ব্যবহার করুন। এক ঘণ্টা পরপর এভাবে ব্যবহার করুন। নারিকেল তেল হলো অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এই তেলে আছে ট্রাইগ্লিসারাইডস, যা ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।

Dhaka Post

জ্বর ঠোসা সারাতে মধুর ব্যবহার

মধু বেশ উপকারী একটি উপাাদান। জ্বর ঠোসা সারাতে এটি কার্যকরী। তবে মধু যেন খাঁটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সামান্য মধু নিয়ে আক্রান্ত স্থানে মিনিট পনের লাগিয়ে রাখুন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করতে পারেন। মধুর আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট। এটি জ্বর ঠোসা দূর করতে সাহায্য করে।

এইচএন

Link copied