ফুলেল পোশাকে সেইলর
বসন্ত সবসময়ই ফুলের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সেইলরের ২০২২ সালের বসন্তের কালেকশন দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের উৎস গদখালির দিগন্ত জোড়া রঙ্গিন ফুলের মাঝে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেইলরের তাদের ভিন্নধর্মী সিজনাল ক্যাম্পেইনগুলোর জন্য কয়েক বছর ধরেই আলোচিত হচ্ছে।
“ফুলের রাজ্যে সেইলর” ক্যাম্পেইনের বিষয়ে চিফ অপারেটিং অফিসার রেজাউল কবির বলেন, দেশের ফুলের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় এই গদখালি থেকে। মূলত শীতের শেষ থেকে বসন্তের শুরু পর্যন্ত যশোরের গদখালি অপরূপ সৌন্দর্যে সাজে। আমরা দেশের বাইরে নেদারল্যান্ডের কেউকেনহোফ, ফ্রান্সের প্রোভেন্স, ক্যালিফোর্নিয়ার কার্লসবাদের নাম জানি ফুল প্রেমী পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্র হিসাবে। একইভাবে, আমাদের যশোরের গদখালি হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম শীর্ষ পর্যটক কেন্দ্র। তাই সেইলরের এবারের বসন্ত সিজনের ক্যাম্পেইন শুট যশোরের গদখালিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।

দিগন্ত জোড়া ফুল গাছের এমন দৃশ্য বাংলাদেশের আর কোথাও পাওয়া বিরল। একই স্থানে দেশি-বিদেশি এত রকমের ফুলের গাছ আর কোথাও দেখা যায় না। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, চন্দ্রমল্লিকার মতো দেশি ফুল গাছের পাশাপাশি, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, জিপসির মতো বিদেশি ফুলের গাছেরও দেখা মেলে গদখালিতে।
সকাল ছয় থেকে আট ঘটিকা পর্যন্ত গদখালি বাজারে বসে দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার। ফুলচাষিরা সংগ্রহ করা ফুল গরুর গাড়ি, সাইকেল, ভ্যান ও মটরসাইকেলে নিয়ে হাজির হয় ফুল বাজারে। গদখালির রাস্তা ও বাজার বাহারি ফুলের সমারোহে সাজে বর্ণিল রুপে। পাইকাররা এই বাজার থেকে সংগ্রহ করে দেশব্যাপী সবার কাছে পৌঁছে দেয় ভালোবাসার স্মারক “ফুল”।

সকালের বাজার ছাড়াও গদখালির ফুলের মোড়ে বাহারি সাজের দোকানগুলোতে সারাদিনই ফুল পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের দর্শনার্থীরা ভিড় করে এসব দোকানে। গদখালির পর্যটক বান্ধব মানুষজন দর্শনার্থীদের সাদরে স্বাগত জানায়।
