মেলায় ড. মুহাম্মদ সামাদের ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে, অপরিসীম আত্মত্যাগে বলীয়ান বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের জন্য কবি-শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ সামাদ-এর আন্তরিক ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধার বিনম্র নিবেদন নতুন গদ্য-পদ্যগ্রন্থ ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অনন্য গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে মাওলা ব্রাদার্স। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর পবিত্র স্মৃতির উদ্দেশে। বঙ্গবন্ধু পর্ব, শেখ হাসিনা পর্ব ও কবিতা পর্ব—এই তিন পর্বে সাজানো হয়েছে গ্রন্থটিকে।
বঙ্গবন্ধু পর্ব-এর প্রারম্ভে ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’—এই পঙক্তিটির ন্যায্যতা বিশ্লেষণ করে তাৎপর্যপূর্ণ প্রবন্ধ রচিত হয়েছে। পূর্ববঙ্গে রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের শক্ত ভিত নির্মাণ; সেই থেকে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মহাজীবনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের ঐক্য রক্ষায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সভাপতির পদ গ্রহণ, ১৭ই মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বাংলাদেশের রাজনীতির ধারণাগত কাঠামো ও শেখ হাসিনার রাজনীতি, এক/এগার-এর ষড়যন্ত্র, শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থপাঠের অপরিহার্যতা এবং জনগণনন্দিত নেত্রী হিসেবে বাংলার মানুষের ভালোবাসায় অভিষিক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রা নিয়ে রচিত হয়েছে গ্রন্থের শেখ হাসিনা পর্ব-এর প্রবন্ধ-নিবন্ধসমূহ।
কবিতাপর্ব-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ রাসেল ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে রচিত আটটি কবিতা; মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দুটি ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে একটি—এই মোট ১১টি কবিতা ইংরেজি অনুবাদসহ গ্রন্থভুক্ত করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি মূল্যবান আকর গ্রন্থ। অমর একুশে বইমেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে মাওলা ব্রাদার্সের ২৯ নম্বর প্যাভিলিয়ন-এ।
ড. মুহাম্মদ সামাদ একজন খ্যাতিমান কবি এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। কবিতার জন্য তিনি চীন থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট পোয়েট ২০১৮’, 'সিটি ব্যাংক-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার', 'কবি জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার', 'কবি জসীম উদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার'সহ দেশে-বিদেশে নানা সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।