‘আমি কারও নাম ফাঁস করিনি’
সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ফাঁস করে ব্যবসা করা অপরাধ বলে মনে করেন তরুণ কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাসেল মাহমুদ। একুশে বইমেলা ২০২৩-এ প্রকাশিত নিজের ছোটগল্পের বই ও একজন নারী লেখকের বিতর্কিত বই প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেছেন।
একুশে বইমেলা ২০২৩-এ প্রকাশিত হয়েছে রাসেল মাহমুদের ছোটগল্পের বই ‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’।
বইটি প্রকাশ করেছে পলল প্রকাশনী। তরুণ কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাসেল মাহমুদের পঞ্চম গ্রন্থ এটি। বইটিতে রয়েছে দশটি গল্প। দশ জন নারীর ব্যক্তিগত জীবনের সত্যিকারের ঘটনাকে গল্পে রূপ দিয়েছেন এই তরুণ লেখক।
রাসেল মাহমুদের নতুন বই নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে উঠে আসে সম্প্রতি প্রকাশিত জান্নাতুন নাঈম প্রীতির বিতর্কিত ‘জন্ম ও যোনীর ইতিহাস’ বই প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘আমিও মানুষের ব্যক্তিগত গল্পই বলেছি, কিন্তু কারো নাম ফাঁস করিনি। যে দশ নারীকে নিয়ে গল্প লিখেছি, কেউ বলতে পারবে না যে লেখক আমার কাহিনি লিখেছেন। সত্যিকারের ঘটনাকে গল্পে রূপ দিতে হয়। সঙ্গমের ইতিহাস সরাসরি লিখে দিলে সেটা হয়ে যায় পর্নোগ্রাফি।’
‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’ কি কোনো ব্যক্তিগত প্রেমের গল্প? এমন প্রশ্নে রাসেল মাহমুদ বলেন, প্রেমহীন কোনো জীবন হয় না। আমারও সে রকম একটা জীবন ছিল। কিন্তু সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ফাঁস করে ব্যবসা করা অপরাধ। আমি সে রকম কিছু করিনি। উত্তম পুরুষে লিখলেও, গল্পগুলো আমার কি না সেটা বোঝা যাবে না।
বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে গল্পের চরিত্রগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিলেন এই কথাসাহিত্যিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গল্পের নারীদের মডেল ছবিসহ তুলে ধরেছিলেন খণ্ডিত সংলাপ। ইতোপূর্বে এ ধরনের প্রচারণা খুব একটা দেখা যায়নি।
গল্পগুলো প্রসঙ্গে রাসেল মাহমুদ বলেন, ছোটগল্প সাহিত্যের অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি শিল্পঘরানা। এখানে কেবল গল্প বলেই দায়িত্ব শেষ করা যায় না। পাশাপাশি গল্পকে শিল্পে রূপ দেওয়ার জন্য অনেক কাটাছেঁড়া করতে হয়। একজন ভাস্কর যেমন মৃত গাছ কিংবা অনড় পাথরকে বিপুল ধৈর্য্য নিয়ে কেটে কেটে ভাস্কর্য তৈরি করেন, ছোটগল্পের বিষয়টিও অনেকটা ওই রকম। বিভিন্ন সময়ে লেখা এই গল্পগুলো যেন বাংলার নারীদের বেদনার সরল ফিরিস্তি।
‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’ বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী দেওয়ান আতিকুর রহমান। ১১২ পৃষ্ঠার বইটি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়।
এনএফ