অমিতের কলমে ‘অগ্নিপথের পথিক’
ঝকঝকে প্রচ্ছদ, যেন কত আপন। লোকটা। অগ্নিপথের পথিক, গণমানুষের শিল্পী, আনসাং হিরো কতভাবেই না তাকে নামাঙ্কিত করা যায়। কতভাবেই না শ্রদ্ধা-ভক্তি জানানো যায়। সব কি জানাতে পেরেছি?
বলছিলাম শহীদ আলতাফ মাহমুদের কথা। সুরের জাদুকর ও মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলতাফ মাহমুদ। তাকে নিয়ে বলার আছে অনেক, সব কি বলা হয়েছে? সুরের ধ্যানে মেতে থাকা, ক্র্যাক প্লাটুনের সেই ভয়াবহ সময়, গেরিলা যুদ্ধের কাহিনি কত কী অজানা। সেইসব অজানা লিপিবদ্ধ করেছেন কবি ও কথাসাহিত্যিক অমিত গোস্বামী। ইতিহাস নয়, উপন্যাসের কলেবরে। প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন।
ঠিক আনুষ্ঠানিক নয়, ঘরোয়া আয়োজনে ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় শহীদ আলতাফ মাহমুদ জায়া সারা আরা মাহমুদের তুলে দেওয়া হয় বইটি। তিনি দেখেছেন। আপ্লুত হয়েছেন।
অমিত গোস্বামী বলেন, বরিশালের প্রত্যন্ত এক গ্রাম থেকে উঠে আসা ঝিলু নামের ছেলেটা ক্রমান্বয়ে কীভাবে সুরের জাদুকর আলতাফ মাহমুদ হয়ে উঠলেন সেই গল্পটা যেমন ধরার চেষ্টা করেছি তেমনি ইতিহাসের সাথে, বিশেষ করে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এই বিশেষ জনগুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেছি। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানের প্রতিটি পঙ্ক্তি অমরতা পেয়েছে আলতাফ মাহমুদের সুরস্পর্শে। কিন্তু তার সব অবদান কি শুধুই গানের জগৎকে ঘিরে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা, কিন্তু আমি জানিয়েছি নতুনভাবে। আমার চেষ্টা ছিল ইতিহাসকে সহজ-সরল করা, উপন্যাসের ঢঙে সেই কাজটাই করেছি।
‘অগ্নিপথের পথিক’ বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন প্রসূন হালদার। পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৮০। মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা।