অর্ঘ্যে আঁকা ছবি
নতুন ভোরের আলো নেমে আসে দেয়ালে
সম্মোহনী আবেশ ছড়িয়ে আলোর বন্যায়
নিয়ে আসে প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ সম্ভাষণ
দেয়ালের ঠিক মাঝখান জুড়ে তেলরঙ ছবিটা
ঘূর্ণাবর্তে চমকিত তরঙ্গ বিদ্যুৎ সু-উচ্চ তর্জনী
সাহসী বুক, ব্যাকব্রাশ চুল, মোটা কালো ফ্রেম চশমা
দেয়াল পেরিয়ে মানসপটে আঁকা থাকে ছবিটা
বীর প্রসবিনী বাঙালির তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান
আমাদের পিতা—মুক্ত জাতির অর্ঘ্যে লেখা নাম
বিশ্ববন্ধু—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শোষণের যাঁতাকলে এক জীর্ণশীর্ণ জাতির
অপমান-বঞ্চনার দীর্ঘ ইতিহাস—অথৈ নোনাজল
শব্দে কিংবা পঙ্ক্তিতে কতোইবা লেখা যায়
ধারণ করেছিলে যখন তুমি নিজেতে পুরোটাই–
কী অনায়াসে মহাকাব্যিক বজ্রকণ্ঠ জাদুতে
ব-দ্বীপের মানচিত্রে দিয়েছিলে স্বতন্ত্র এক নাম
বাংলাদেশ—
তবুও কেন এসেছিল পনেরো আগস্ট পঁচাত্তর
নেমেছিল কেন এই বাংলায় জঘন্য কালরাত
মূর্খের দল পিশাচ হয়তো ভেবেছিল সহজে
মুছে ফেলা যাবে তোমায়
নিস্তব্ধ বত্রিশ নম্বর মানে নিশ্চিহ্ন বাংলাদেশ
নীরবে খুবলে খাবে স্বাধীনতা আর পতাকা
ভাবনার অতীত ছিল তাদের জিঘাংসা প্রত্যাশা
কিন্তু সে কি চাইলেই মুছে ফেলা যায়
মিশে আছে যে বাঙালির সাহস ও প্রেরণায়
তেলরঙ ছবিটা আজ আরও উজ্জ্বল, প্রাণের ছোঁয়া মাখা
এই ছবি যে মুক্ত জাতির শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্যে আঁকা।।